তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যাবর্তন: বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ইতিহাস-সন্ধিক্ষণ
আওরঙ্গজেব কামাল : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক জটিল কিন্তু অপরিহার্য অধ্যায়। এটা একটি গণতান্তিক জনঅধিকার বাস্তবায়নের মুলধারা। যদি সেটা সঠিক প্রয়োগ হয়। এবং যারা এটাকে পরিচালিত করবে তারা যদি নিরপেক্ষতা ভূমিকা পালন করে।রাজনৈতিক ইতিহাসের সংকটময় মুহূর্তে এই ব্যবস্থার উদ্ভব, এবং সংকট থেকেই এর পুনরুত্থান। একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্র তার পূর্ণ জীবনের রূপ পেতে পারে। জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে পারে। আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আবার সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী পরিস্থিতি, জনগণের কাছে একটি যৌক্তিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে—নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে? সেটা এখন দেখার বিষয়। যদিও বিগত নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্তা আইনী প্রয়োজন কিন্ত এটার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিবর্তন, অতীত নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার সফলতা–ব্যর্থতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ—সবকিছু বিশ্লেষণ করতে হবে। আমি তত্ববধায়ক সরকারের বিপক্ষে কথা বলছি না। বলছি এই ব্যবস্তা সঠিক প্রয়োগের বিষয়ে। অবশ্যই আপনারা জানেন কেন সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার হয়েছিল। সেই সময় দেশের পরিস্থিতি হয়তো এই ব্যবস্থা তৈরী করতে বাধ্য করে ছিল। যেমন আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা হলো ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপেক্ষিতে সৃষ্ট অসহযোগ আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সংগঠিত অস্থায়ী সরকার ব্যবস্থা। হয়তো সেটা আইনী কতটুকু গ্রহন যোগ্য সেটা নিয়ে অনেক পক্ষে বিপক্ষে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। সে যাই হোক বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা জন্ম নেয় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর—এরশাদের পতনের পর। কোনো সাংবিধানিক সংশোধনী ছাড়াই গঠিত সেই নির্দলীয় সরকারই প্রথমবারের মতো প্রমাণ করে দেয়—একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন) এবং ২০০১ সালের নির্বাচনগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হয় মূলত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কারণেই। এর বিপরীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দেয়—দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কতটা সংঘাতময় হতে পারে। বিরোধী দলের বর্জন, সহিংসতা, ৪৬ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়—সব মিলিয়ে এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি এক বড় আঘাত ছিল।পরে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন—যেখানে আওয়ামী লীগ ১৪৬, বিএনপি ১১৬, জাতীয় পার্টি ৩২ ও জামায়াতে ইসলামী ৩ আসন পায়—বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উদাহরণ হয়ে ওঠে। জাতীয় পার্টির সমর্থনে গঠিত হয় সরকার, ফিরিয়ে আনে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কিন্ত সেটা নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। আমার জানামতে ওয়ান ইলেভেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কালো ছায়া হিসাবে দেশের জনসাধারনের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। যার কারনে মানুষ তত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কিন্ত সেটা তত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্তা দায়ী নয়। যারা এই ব্যবস্তা পরিচালনা করেছে সেই সব দায় তাদের বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনের। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে “ওয়ান ইলেভেন” নামে যে অধ্যায় যুক্ত হয়, তা ছিল তত্ত্বাবধায়ক ধারণার জন্য এক বিভাজন রেখা। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের একতরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি, সংকটাপন্ন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়। এরপর গঠিত হয় সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার—ড. ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে। যেটা দেশবাসী এখনো সাক্ষী রয়েছে। এই সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার, সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, মৌলিক অধিকার স্থগিত, প্রশাসনে হস্তক্ষেপ—সব মিলিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ধারণা একটি নতুন প্রশ্নের মুখে পড়ে। যদিও ২০০৮ সালের নির্বাচনের সাফল্য—৮৬ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ—বৈধতার প্রমাণ দেয়, তবুও ওয়ান ইলেভেনের অভিজ্ঞতা রাজনৈতিক অগণতান্ত্রিকতার এক সতর্ক সংকেত। যেটা বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সফলতা এনে দিতে পারেনি। আজকের পুনর্বহাল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জনগণের সংশয় তাই অমূলক নয়। এটা এখন কারা পরিচালনা করবে এবং তাদের ভূমিকা কেমন হবে তার উপর নির্ভর করছে আগামী দিন গুলি। এখন আবার আরেকটি প্রশ্ন অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন। তাহলে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতার বিষয়টি কেমন হবে । এছাড়া বর্তমান রাষ্ট্রপতির গায়ে ফ্যাসিবাদী ট্যাগ লাগানো রয়েছে। এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যেটা বড় বাধা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের রায় যদিও গণতন্ত্রে নতুন মোড় ফিরিয়ে দিয়েছে। জনগণ তাদের কাঙ্খিত ভোটারোধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায় এটা কতটুকু নিরেপেক্ষ হবে। পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের পর ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়। কিন্তু রাজনৈতিক সংকট, অবিশ্বাস, ও জনআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। আদালতের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ ১০ দিনের শুনানি শেষে রায় দেয়—সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ। ফলে দেশে আবাও তত্ববধায়ক সরকারের অধিনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর কোন বাঁধা রইল না। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান রায় ঘোষণার পর বলেন—“তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরেছে, তবে এর কাঠামো—পুরোনো নাকি জুলাই সনদের—তা নির্ধারণ করবে পরবর্তী সংসদ। কিন্ত এখন প্রশ্ন পরবর্তী সংসদ হবে তার পরে সব কিছু বিহিত হবে। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যবস্তার কি হবে। তবে আমি বলবো তার এ বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার—ব্যবস্থাটি এখনো অসম্পূর্ণ; রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত রূপ নির্ধারণ করবে। তবে তিনি আরও বলেন—“মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে, ভোট রাতের পরিবর্তে দিনে হবে এবং মৃত মানুষ ভোট দেবে না। অর্থাৎ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে জনগণের যে দীর্ঘদিনের উদ্বেগ, রায়টি সেগুলো সমাধান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন প্রধান প্রশ্ন হলো নতুন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কি? আর এই সরকারের প্রধানের দায়ীত্ব কার উপর নাস্ত থাকবে। আমি সবদিক বিচার করে মনে করি এ সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর— (১) সরকারের কাঠামো কতটা নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী হবে? জুলাই সনদের কাঠামো অনুসরণ করা হলে রাজনৈতিক প্রভাব কমবে, তবে প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ বাড়বে। পুরোনো কাঠামো ফিরলে পূর্বাবস্থার সুবিধা–অসুবিধা উভয়ই আসবে। (২) সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে? ওয়ান ইলেভেনের অভিজ্ঞতা সেনা-অভিভাবকত্বের ভীতিকে এখনও বড় করে রেখেছে। সেনাবাহিনী সরাসরি বা ছায়া থেকে জড়িত হলে গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। (৩) নির্বাচন কমিশন কতটা স্বাধীনতা পাবে? কোনো নিরপেক্ষ সরকারই কার্যকর নয় যদি নির্বাচন কমিশন দলনিরপেক্ষ, মজবুত ও সক্ষম না হয়।(৪) রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে কি? গণতন্ত্রে আস্থা-সঙ্কটই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সব দলের অংশগ্রহণ না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এখানে একটি বড় সমস্যা সেটা হল ১৪ দলীয় জোটের কারাকার এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবে। এদিকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ হয়তো নির্বাচন করতে পারবে না। তবে সে ক্ষেত্রে আবাও কি কখনো প্রশ্ন উঠবে কি না। (৫) প্রশাসনের নিরপেক্ষতা পুনর্গঠন করা যাবে কি? এ প্রশ্ন এখন সর্ব সাধারনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তার তার কারন বিগত দিনে প্রশাসন একটি দলের হয়ে কাজ করেছে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দলীয় সরকারের অধীনে প্রশাসন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়েছে—এ বাস্তবতা অস্বীকার করা যায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশাসন পুনর্গঠনে কতটা দক্ষ হবে, তা নির্বাচনের মান নির্ধারণ করবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গড়ার পরীক্ষা এখন শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে জামাত ও এনসিপি বলছে নির্বাচন কমিশন একটি পক্ষের হয়ে কাজ করছে। এছাড়া বিএনপি বলছে নির্বাচন বানচাল করতে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলি যদি প্রথমে নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা হারায় তাহলে নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ হওয়া সম্ভাব হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিকে গণতন্ত্রের নিরাপত্তা বলয়, অন্যদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কের উৎস। আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এর পুনরাগমন যেমন জনগণের প্রত্যাশাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে, তেমনি নতুন প্রশ্নও তৈরি করেছে—এবার কি সত্যিই বাংলাদেশের ভোটাররা তাদের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন?সেনা-নিয়ন্ত্রিত শাসনের ছায়া কি দূরে থাকবে? সব দল কি মাঠে নামবে? নির্বাচন কি হবে রাতের নয়, দিনের? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নির্ভর করবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাস্তব কর্মদক্ষতার ওপর। শেষ পর্যন্ত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্যটি হলো— গণতন্ত্র কেবল কাঠামো নয়, এটি একটি আচরণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই আচরণকে সুরক্ষিত রাখার একটি মাধ্যম—যার সফলতা নির্ভর করবে আমাদের সম্মিলিত পরিশ্রম ও সততার ওপর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক বিরল প্রশাসনিক কাঠামো—যা একদিকে গণতন্ত্রের সংকটকে নির্দেশ করে, অন্যদিকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রয়োজনীয় পথ হিসেবে হাজির হয়েছে। নানা রাজনৈতিক টানাপোড়েন, বৈরী পরিবেশ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে ভোটারদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থার আবির্ভাব। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অতীত অভিজ্ঞতা যেমন উজ্জ্বল, তেমনই রয়েছে দুঃসহ স্মৃতি—বিশেষ করে ওয়ান-ইলেভেনের পর ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি। তাই প্রশ্ন উঠছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুনর্বহাল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদৌ কি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে? আমরা যদি সংবিধান ও আদালতের রায় নিয়ে আলোচনা করি তাহরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যাবর্তন আমাদের জন্য অতি প্রয়োজন। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয় এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাপ ও জনআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আপিল বিভাগ পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করে ১০ দিনের শুনানির পর রায় দেয়—যা কার্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে আবার সাংবিধানিক মান্যতা প্রদান করেছে। এখন যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদ আবার নতুন করে ডেইলে সাজাতে হবে। স্বচ্ছ ও যারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে তাদেরকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে হয়তো বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হবে। জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। শাসক গোষ্ঠী অবশ্যই ভয় পাবে। জনগণের কাছে সরকারের একটা দায়বদ্ধ থাকবে।
লেখক ও গবেষক :
আওরঙ্গজেব কামাল
সভাপতি
ঢাকা প্রেস ক্লাব ও
আন্তর্জাতিক প্রেস ক্লাব
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।

