ঢাকাশুক্রবার , ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি সংবাদ
  5. খাদ্য ও পুষ্টি
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাকরি-বাকরি
  10. ছড়া
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘাটাইলে শেখশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এলাকাবাসীর

www.sherebanglanews.net www.sherebanglanews.net
অক্টোবর ৩১, ২০২৫ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঘাটাইলে শেখশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এলাকাবাসীর

বিশেষ প্রতিনিধিঃ টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় শেখশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাটাইল, টাংগাইল এর প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেন সাহেবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী।এমনকি স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরাচারিতা, অমানবিকতা, বৈষম্যমূলক বিভিন্ন আচরনের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। সূত্র জানায়, ৪৫ নং শেখশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় জনগনের অভিযোগ অর্থাৎ অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহোদয় তাঁর কর্মকালীন সময়ের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরাচারিতা, অমানবিকতা, বৈষম্যমূলক বিভিন্ন আচরনের কিছু অংশ নিন্মে বর্ণিতঃ অত্র বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত অর্থ বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বর ৬০০৮০০২১৭৫১২১ সোনালী ব্যাংক, ঘাটাইল শাখা হতে ২০১৭ খ্রিঃ থেকে ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত ৯,৮১,০০০/= টাকা এবং অন্য হিসাব নম্বর ৬০০৮০০২১৪৩৯৩১ সোনালী ব্যাংক, ঘাটাইল শাখা হতে ২০২১ খ্রিঃ থেকে ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত ১,২৫,৩০০/= টাকা উত্তোলন করেছেন কিন্তু বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোন উন্নয়নমূলক কাজ করে নাই।প্রাধান শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে বিদ্যালয়ের ফান্ড গঠন করেন এবং সেই ফান্ডের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ করবেন বলেন কিন্তু কোন কাজ করেন না।অভিযোগকারী অর্থাৎ অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের দাবি, প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ে ০৩ টি ল্যাপটপ, ০১ টি প্রজেক্টর, ০১ টি ওয়াই ফাই রাউটার, ০২ টি সাউন্ড সিস্টেম ও ০১ টি মিনি হ্যান্ড মাইক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর হতে সরবরাহ করেছেন। উক্ত ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, ওয়াই ফাই রাউটার, সাউন্ড সিস্টেম ও মিনি হ্যান্ড মাইক বিদ্যালয়ে না থাকায়, এসব উপকরন সামগ্রীর কথা জানতে চাইলে “চুরি হয়ে যেতে পারে মর্মে নিজ বাসায় রেখেছেন” বলে জানান। অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির অবস্থা খুবই শোচনীয়, বসার ভালো ব্যবস্থা নাই, ব্লাকবোর্ডের অবস্থা খুবই খারাপ, শিক্ষার্থীদের খেলনা সহ প্রয়োজনীয় কোন উপকরন সরবরাহ করেন না।তিনি অত্র বিদ্যালয়ে ০২-০২-২০১৭ খ্রিঃ তারিখে যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও শিখন শেখানো উপকরন ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়িয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০০/= টাকা আদায় করে ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে থাকেন।২০২৫ খ্রিঃ তারিখ মাসিক (৫৬×১০০০)= ৫৬০০০/- টাকা। গড়ে ২০১৭ খ্রিঃ সাল থেকে ২০২৫ ইং সাল পর্যন্ত (৫০জন X ১০০ মাস × ১০০০টাকা) = ৫০,০০,০০০/- টাকার প্রায় (আনুমানিক) ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন।প্রধান শিক্ষক মহোদয় বেশিরভাগ দিন সকালে এসে প্রাইভেট পড়িয়ে শিক্ষা অফিসে কাজ আছে বলে চলে যান এবং বিকেল ৩ঃ৩০ টার দিকে এসে আবার প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন কিন্তু কোন মুভমেন্ট খাতা মেইনটেইন করেন না।প্রধান শিক্ষক, অত্র বিদ্যালয়ে আসার পর থেকে বিভিন্ন খাতে টাকা উত্তোলন করেন।শুধু ২০২৪ সালে ০১ বছরে ইনকাম ২,২১,৮০০/- টাকা। অনুরুপভাবে (আনুমানিক) গত ০৭ বছরে হয় (২,২১,৮০০০ ৭)=১৫,৫২,৬০০/- টাকা।(বিগত বছর গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরো বেশী ছিল)।তিনি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ছাড়পত্র বাবদ ৮০০/- টাকা থেকে ১২০০/- টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রতি বিষয়ে ৫০/- টাকা থেকে ১০০/- টাকা গ্রহন করে প্রমোশন দিয়ে থাকেন।শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে খেলাধূলা, মিলাদ মাহফিল, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা তোলার পর সঠিক ভাবে অনুষ্ঠান গুলো পালন করেন না। শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার দিবেন বলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১০/- টাকা এবং বিদ্যালয় পলায়ন করা শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৫০/- টাকা করে জরিমানা আদায় করেন কিন্তু কোনো পুরস্কার না দিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেন।৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির সিলেবাসের ক্রয় মূল্য দেয়া আছে মর্মে ২০/- টাকা আদায় করার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক ২৫/- টাকা আদায় করতে চাইলে এতে সহকারি শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে শ্রেণি শিক্ষকদের নিকট থেকে অবিক্রিত সিলেবাসের টাকা জরিমানা আদায় করে নিয়েছেন।১ম থেকে ৮ম শেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিনামূল্যে বিতরনকৃত পুরাতন বই বছর শেষে উত্তোলন করে গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি শিক্ষক বিউটি আক্তার তার নিজ বেতনের টাকায় ক্রয়কৃত ০১টি সিলিং ফ্যান নামাজের স্থানে লাগিয়ে দেন।সেই সিলিং ফ্যান সরিয়ে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে লাগিয়ে নামাজের পরিবেশ নষ্ট করেছেন, বর্তমানে কোন নামাজের ব্যবস্থাও রাখেননি এবং বিভিন্ন সময় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গণের সাথে এবং দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর সাথে ব্যক্তিগত পারিবারিক দূর্বলতায় আঘাত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুর্ব্যবহার করেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে।৬ষ্ঠ শেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফ্রি বাবদ ১০০/= টাকার ফরম বিক্রি করে কোন পরীক্ষা গ্রহন করেন না।এমনকি বিদ্যালয়ের পুরাতন চেয়ার বেঞ্চ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেন এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে তাই তিনি এখনি কিছু বলতে চাননা

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য।

এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
জাতীয় সর্বশেষ
%d bloggers like this: